Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2021

কালো নারী তার বিশাল দেহ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন

গিনি কোনাক্রিতে গণহত্যা  || কাজী জহিরুল ইসলাম ||   মেঘের ফাঁক দিয়ে এক চিলতে আলো এসে পড়েছে ম্যানহাটনে ,  তাও আটকে দিতে চাইছে সুউচ্চ দালানের সারি। সেই আলোটুকু ছোব বলে ফোর্ড ফাউন্ডেশন থেকে বেরিয়ে হাঁটতে থাকি আপটাউনের দিকে। ৪৭ নম্বর সড়কে এসে থামতেই হয়। একদল সুঠামদেহী কালো নারী ,  কালো পুরুষ শূন্যে মুষ্ঠি ছুঁড়ে তীব্র কন্ঠে স্লোগান দিচ্ছে "গো গো / আলফা কন্ডে" ,  “ ব্রুটাল কিলার/ আলফা কন্ডে" ।  ভিড়ের মুখগুলো তখন আর আমার কাছে অপরিচিত থাকে না ,  আমি ওদের চিনি ,  ওদের বাড়ি পশ্চিম আফ্রিকার গিনি কোনাক্রিতে। একটা সময় ছিল যখন আমি দেহের আকৃতি ,  গড়ন ,  মুখের আদল দেখেই মোটামুটি বলে দিতে পারতাম আফ্রিকার কোন দেশে কোন কালো মানুষটির বাড়ি। আফ্রিকা থেকে ফিরে এসেছি প্রায় এক দশক হতে চলেছে ,  সেই দক্ষতার ধারও এখন কমে গেছে।   মাথাপিছু গড় আয় আজ দুই হাজার ডলারের কিছু ওপরে হলেও ,  যখন আমি পশ্চিম আফ্রিকায় ছিলাম ,  ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ,  ওদের মাথাপিছু গড় আয় ছিল মাত্র পাঁচশ ডলার। হতদরিদ্র এই দেশটির আয়তন কিন্তু বেশ বড় ,  ২ লক্ষ ছিচল্লিশ হাজার বর্গ কিলোমিটার ।   লোকের বাস মাত্র ১ কোটি ২৪ লক্ষ ,  জ

রাজনীতির ফায়দা নেয়ার কৌশল

  রাজনীতির রঙ  || কাজী জহিরুল ইসলাম ||   ঊননব্বুই সালের শেষের দিকের কথা। তখন এরশাদ সরকার ক্ষমতায়। আমি তখনো কোনো চাকরি বাকরিতে যোগ দেই নাই। কবিতা লেখি ,  আড্ডা মারি ,  আর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি। বেশ কিছু   সাহিত্য সংগঠনের সাথে তখন সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। কবি জসীম উদদীন পরিষদ ,  অনুপ্রাস ,  উদীচী ,  শতাব্দী এইসব। অনুপ্রাসের সহ-সভাপতি ছিলেন কবি জাহাঙ্গীর হাবীব উল্লাহ (তার নাম কেউ হাবিবুল্লাহ লেখলে খুব রেগে যেতেন।) গীতিকার অনিমেষ বড়ালও অনুপ্রাস করতেন। চলি পদ্মাপাড় কাব্যগ্রন্থের কবি শেখ সামসুল হক তখন ছিলেন দৈনিক নব-অভিযান পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক।   তিনিও অনুপ্রাস করতেন। তার কারণে নব-অভিযানে আমি প্রচুর লিখেছি তখন।   আমাদের দলনেতা ছিলেন খোশনূর আলমগীর (তখন এটাই তার নাম ছিল)। অনিমেষ বড়াল আমার চেয়ে বয়সে কিছু বড়। বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস   করে হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছেন। জাহাঙ্গীর হাবীব উল্লাহ তখন আনসার ভিডিপির পাক্ষিক মুখপত্র প্রতিরোধ পত্রিকার সম্পাদক। একদিন সামসু ভাই আমাকে আর অনিমেষ বড়ালকে ডেকে বলেন ,  তোমরা জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সাথে দেখা করো। তার ওখানে দুইটা পোস্ট খালি আছে। আমরা দেখা করতে গেলে জাহাঙ্গীর

কুতর্কের ফিরিস্তি

  জাতীয় সঙ্গীত বিতর্ক  || কাজী জহিরুল ইসলাম ||  এপ্রিলের ২০ তারিখে পাঠকের পাতা যথারীতি একটি বাংলা বইয়ের ওপর আলোচনা করার পাশাপাশি বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে বাড়তি কিছু আয়োজন করে। এবারের নির্বাচিত বই ছিল শাহাদুজ্জামানের  ‘ একজন কমলালেবু ’ । কবি জীবনানন্দ দাশের যাপিত জীবনকে লেখক তার সাহিত্যকর্ম এবং ব্যক্তিগত ডায়রিতে টুকে রাখা নোটের আলোকে দেখার চেষ্টা করেছেন এই গ্রন্থে। আমি এবং ওবায়েদুল্লাহ মামুন ছাড়াও দুজন অতিথি আলোচক গ্রন্থটি নিয়ে আলোচনা করেন, তারা হচ্ছেন হাসান ফেরদৌস এবং আহমাদ মাযহার। গ্রন্থটি নিয়ে দুজনই দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেন। আজ মে মাসের ৮ তারিখ। গত আঠার দিনে বেশ অনেকবারই এই অনুষ্ঠানের কিছু বক্তব্য এবং অনুষ্ঠনোত্তর কিছু আচরণ নিয়ে আমি ভেবেছি। হাসান ফেরদৌস বুদ্ধিমান মানুষ, আমরা তাকে পণ্ডিত বলেই সমীহ করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে বড় ভাই বলে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সেদিন তিনি তার আলোচনায় এমন কিছু বলেছেন যা তার বুদ্ধিমমত্তার সঙ্গে যায় কিনা তা নিয়ে আমি কিছুটা বিভ্রান্ত। শুরুতেই তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন আমরা কেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করলাম। তার মারমুখী বক্তব্যে মনে

চেষ্টা করলে কি আলোকিত মানুষ হওয়া যায়?

  আলোকিত মানুষ  || কাজী জহিরুল ইসলাম ||  দুটি উৎস থেকে মানুষের মধ্যে আলো আসে। একটি অন্তর্গত আলো আর অন্যটি বাইরের উৎস থেকে আসা আলো। অধ্যয়ন এবং অভিজ্ঞতা থেকে যে আলো আসে সেটি বাইরের উৎস থেকে আসা আলো। এটি প্রতিফলিত আলো, চাঁদের আলোর মতো। চর্চায় একে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। আপনি যখন ভালো ভালো বই পড়েন, আপনার হৃদয় ভালো চিন্তায় ও কাজে উদ্বুদ্ধ হয়। সেই ভালো চিন্তা ও কাজের চর্চা বন্ধ হয়ে গেলে বা ভালো বই পড়া ছেড়ে দিলে ক্রমশ আপনি আবার আলোহীন অবস্থায় ফিরে যাবেন। ভালো সঙ্গ, ভ্রমণ, বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবেলা, পেশাগত ও সামাজিক দায়িত্ব পালন প্রভৃতির মধ্য দিয়েও আমাদের মধ্যে আলো আসে। সেই আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে আমাদের মনোজগতে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়, আমরা ভালো চিন্তা ও কাজে অনুপ্রাণিত হই। কিন্তু সেই ভালো চিন্তা ও কাজের চর্চা অব্যাহত না রাখলে, বা যেসব উৎস থেকে আলো এসেছে সেইসব উৎস বন্ধ হয়ে গেলে, আমরা ধীরে ধীরে আবার আলোহীন অবস্থায় ফিরে যাই।  অন্য যে উৎস থেকে আলো আসে সেটি হচ্ছে ভেতরের আলো। এটি অনেকটা দেশলাইয়ের কাঠির মাথায় লেগে থাকা বারুদের মত। আছে কিন্তু জ্বলছে না। জ্বালানোর জন্য দরকার উপযুক্ত ঘষা। যেখানে সেখানে ঘষলে ক

পুঁথিগত বিদ্যা কোনো কাজের জিনিস নয়

  সাহিত্যের মান বিতর্ক || কাজী জহিরুল ইসলাম ||   সাহিত্যের মান নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রায়শই একটি বিতর্ক অবধারিতভাবে উঠে আসে। সেটি হচ্ছে   ‘ সাহিত্যের মান কে বিচার করবে ?  মহাকালই বলে দেবে কোনটা ভালো সাহিত্য আর কোনটা ভালো সাহিত্য নয়। ’   যারা এই বিতর্ক তোলেন তাদের অনেকেই ন্যুনতম মান সম্পর্কে অবহিত নন ,  অথবা জেনেও না জানার ভান করেন। ভান এজন্য করেন কারণ তাদের নিজেদের সাহিত্যের অবস্থান ন্যুনতম মানের নিচে।  সেটি তারা জানেন এবং তা এড়িয়ে যাওয়ার  জন্যই মহাকালকে অন্ধকার থেকে টেনে আনার চেষ্টা করেন। আমরা যে মহাকালের দোহাই দেই ,  সেই মহাকাল মহাশয় কেবলমাত্র মানোত্তীর্ণ সাহিত্যকেই তাঁর টেবিলের ওপর রেখে বিচার করবেন ।   কোন জায়গা থেকে কয়টা লাইন রাখবেন আর কোন অংশটা অন্ধকারে ছুঁড়ে ফেলবেন  সেই বিচার তিনি করবেন শুধুমাত্র মানোত্তীর্ণ সাহিত্যের মধ্য থেকেই।   ন্যুনতম মানের নিচে যেগুলোর অবস্থান সেগুলো বিবেচনার জন্য মহাকাল মহাশয়ের টেবিল অব্দিও পৌঁছুবে না। ন্যুনতম মান কি ?  এটা নিয়ে  আলোচনা করা যেতে পারে। একটি উদাহরণ দিই। মানের সঙ্গে কিন্তু কালের একটি সম্পর্ক আছে। একসময় মানুষ কাঁচা মাংস খেত ,  এরপর পুড়িয়ে ,  এরপ

দক্ষতার পাশাপাশি নৈতিকতাটাও দরকার

পেশাগত  নৈতিকতা || কাজী জহিরুল ইসলাম ||      একজন বিচারপতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তিনি আমার এক প্রতিবেশীর ভগ্নীপতি। শ্যালকের বিবাহবার্ষিকীর দাওয়াতে এসেছিলেন। বিশাল লিভিংরুমের একমাত্র নীরব দর্শক ছিলেন তিনি। সকলের মুখে যখন রাজনীতি বিষয়ক মুখর আলোচনার খই ফুটছে তখন তিনি মুখে কুলুপ এঁটে চুপচাপ বসে আছেন। খুব যে মনোযোগ দিয়ে কথা শুনছেন তাও না। স্যুট-টাই পরা, কামানো মুখে ছোটো করে ছাটা গোঁফ, প্রায় ছয়ফুট উঁচু, মোটাসোটা এক জবরদস্ত ভদ্রলোক। তার এই অস্বাভাবিক  নী রবতা আমাকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। আমি এগিয়ে যাই, পাশে বসি। হাত বাড়িয়ে করমর্দন করি এবং পরিচিত হই। পেশার কথা জানতে চাইলে তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন। আমি যখন নিজের পরিচয় দিয়ে বলি, আমি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করি এবং দেশের বাইরে থাকি, এবং যখন দ্বিতীয়বারের মত তার কাজের কথা জানতে চাই তখন বলেন, তিনি একজন বিচারপতি। আমার অদম্য আগ্রহের কারণেই তার এই  নী রবতা এবং পরিচয় দিতে না চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন। বিচারপতিদের কোড অব কন্ডাক্ট বোঝান। বিচারপতিরা মূলত বসবাস করেন সামাজিক জেলখানায়। সমাজে বাস করেও তারা অসামাজিক প্রাণী। বিয়ে, জ

আরবি শব্দ মু'আইনা থেকে ময়না তদন্ত এসেছে

  বই ব্যবচ্ছেদ || কাজী জহিরুল ইসলাম ||   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সরকারী পাঠাগারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রচুর বুক ক্লাব গড়ে উঠেছে। অন্য দেশেও এমন অনেক বুক ক্লাব আছে। বুক ক্লাবগুলো সাধারণত পাঠাগার ভিত্তিকই হয়। কিছু উৎসাহী পাঠক একসাথে হয়ে তাদের পছন্দের বই পড়ে এবং একত্রিত হয়ে নিজেদের পাঠ প্রতিক্রিয়া/অভিজ্ঞতা শেয়ার করে যাতে করে বইটি সম্পর্কে আরো ভালো করে জানা যায়। এতে মননশীলতার একটি নিবিড় চর্চা হয়। মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক বোধ জাগ্রত হয়, মানুষ ক্রমশ অধিক ইতিবাচক ও মানবিক হয়ে ওঠে।   আমেরিকায় বাঙালিদের সবচেয়ে বড় বসতি জ্যাক্সন হাইটসে। এর পরেই সম্ভবত জ্যামাইকায়। দুটো পাড়াই নিউ ইয়র্কে। মার্কিনিরা বই পড়ার ক্ষেত্রে খুব উৎসাহ দেয়। ছোটো ছোটো পাড়ায়, মহল্লায়ও রয়েছে সরকারী পাঠাগার। কুইন্সে মোট ৬২টি পাঠাগার আছে, নিউ ইয়র্ক শহরে আছে ১৪৩টি। পুরো আমেরিকাতে সরকারী পাঠাগার আছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৬৭টি। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে যেসব পাঠাগার আছে সেগুলোতে আজকাল বেশ বাংলা বইও চোখে পড়ে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের, দু ’ জায়গার লেখকদের বইই দেখা যায়, তবে পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের বাংলা বইই বেশি। প্রতিটি পাঠাগারকে কেন্দ্র করেই

মেধা সম্মান না পেলে সমাজ পিছিয়ে পড়ে

  সম্মানের ভিত্তি কী হওয়া উচিৎ  || কাজী জহিরুল ইসলাম ||    আমরা মানুষকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি, যেসব কারণে তা হচ্ছে জ্যেষ্ঠতা, পদমর্যাদা, বংশমর্যাদা, মেধা, বিত্ত। আমার এক সহকর্মীর নাম রাজাফিমাহারো, বাড়ি মাদাগাস্কার। চাচার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যাচ্ছে, তখন ওর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয়। তখন ই  জানতে পারি মাদাগাস্কারের মানুষ বয়োজ্যেষ্ঠদের সবচেয়ে বেশি সম্মান করে। সম্মানের প্রধান ভিত্তিই হচ্ছে জ্যেষ্ঠতা। কারণ যিনি বড় তিনি মৃত্যুর কাছাকাছি আছেন, মৃত্যুই হচ্ছে সবচেয়ে সম্মানিত অবস্থান। মালাগাছিরা মৃতের সমাধিমন্দির নির্মাণ করে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। এইসব সমাধিমন্দিরের নাম তানিন্দ্রাজানা। আফ্রিকার আরো অনেক দেশের মানুষ জ্যেষ্ঠতাকে সম্মানের প্রধান ভিত্তি হিসেবে মানে। অবশ্য পদমর্যাদা এবং বিত্তকেও আফ্রিকার মানুষ সম্মানের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে। কোরিয়ার লোকেরা জ্যেষ্ঠদের খুব সম্মান করে, জাপান আস্তে আস্তে এই জায়গাটি থেকে বেরিয়ে আসছে, চীন প্রায় বেরিয়ে এসেছে। তারা এখন সম্মানের প্রধান ভিত্তি করেছে মেধা। ইওরোপ এবং আমেরিকার মানুষ বয়সকে পুরোপুরি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মেধাকেই সম্মানের প্রধান ভিত্তি হিসেবে মেনে নিয়েছে।

কে মেধাবী?

  মেধাবী  শনাক্ত করার উপায়   || কাজী জহিরুল ইসলাম ||  একটি অবয়বপত্র-স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম সামাজিক মান মর্যাদার ক্ষেত্রে যদি মেধাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় তাহলে উন্নয়নের দৌড়ে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবো। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে এই চিত্রই আমরা দেখি। মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ তো সামাজিক মান-মর্যাদাই। আমরা প্রথমে মন দিয়ে, ধ্যান দিয়ে, পরিশ্রম করে, ডিগ্রী অর্জন করি, লক্ষ হচ্ছে ভালো চাকরি পাওয়া। চাকরি পাওয়ার পর পরিশ্রম করে ভালো পারফর্ম করি, লক্ষ হচ্ছে পদোন্নতি পাওয়া এবং বেশি আয় করা। এরপর আমরা ক্রমাগত আমাদের যৌবনব্যাপী পরিশ্রম করতে থাকি সম্পদ আহরণের জন্য। যখন প্রচুর সম্পদের মালিক হয়ে যাই তখন সম্পদ ব্যয় করতে থাকি সামাজিক মান-মর্যাদা অর্জনের জন্য। সামাজিক মান-মর্যাদাই সর্বসাধারণের চূড়ান্ত লক্ষ। ব্যতিক্রমী মানুষদের কথা আলাদা। এখন সামাজিক মান-মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যদি সম্পদশালীকে বা অন্য কোনো শালীকে (শ্যালিকা নয় কিন্তু) বিবেচনা না করে মেধাবীকে, প্রজ্ঞাবানকে বিবেচনা করি তাহলে মানুষ মেধা এবং প্রজ্ঞা অর্জনে অধিক উৎসাহী হবে। সম্পদশালী যদি মেধাবী হয়, প্রজ্ঞাবান হয় এবং মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষ হয় তাকে সম্মানের