Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2020

দুঃখকেও উপভোগ করা যায়

  জীবনের ছন্দ || কাজী জহিরুল ইসলাম ||     জীবনকে উপভোগ্য করে তোলার কথা বললে অনেকেই ভাবেন ভোগ বিলাসের কথা বলছি। আসলে তা নয়। দুঃখকেও উপভোগ্য করে তোলা যায় ,  আনন্দের উপলক্ষ করে তোলা যায়। শেষ কথাটি হচ্ছে ,  আনন্দের মধ্যে বসবাস করা। সারাক্ষণ মনের জগতে একটি ভালোলাগা বোধ ধরে রাখতে পারলে মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে বলে আমার ধারণা। আমি যখন স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ছবি অবয়বপত্রে প্রকাশ করি ,  মুক্তির সঙ্গে বা আমার পুত্র-কন্যাদের সঙ্গে আনন্দের ছবি প্রকাশ করি ,  এর একটি উদ্দেশ্য থাকে। আমি চাই আমার আনন্দ অন্যদের মধ্যে প্রবাহিত হোক ,  অন্যরাও আনন্দে থাকার বা থাকতে পারার তাগিদ অনুভব করুক। কারো কারো দীর্ঘশ্বাসের শব্দ আমি পাই। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন আমি অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল বলেই আনন্দে মেতে থাকতে পারছি। তারা মনে করেন আনন্দের মূল শক্তিই অর্থবিত্ত। আমি তা একেবারেই নাকচ করে দিই। আজ আমার স্বচ্ছলতা আছে বটে কিন্তু আমিও একদিন বিত্তহীন ছিলাম ,  কপর্দকশূন্য অবস্থায় বিবাহিত জীবন শুরু করেছিলাম। তখনও এর চেয়ে একটুও কম আনন্দে ছিলাম না। যাই হোক যে কথা বলার জন্য আজকের এই লেখা তা হচ্ছে আমাদের আনন্দের অনুষঙ্গগুলোর কিছু তু

শিল্পী কাজী রকিবের সাক্ষাৎকার

নন-একাডেমিক শিল্পীরাই নতুন কিছু দেয় -    কাজী রকিব  [কাজী রকিব বাংলাদেশের একজন গুণী শিল্পী। রাজশাহী আর্ট কলেজের একজন প্রতিষ্ঠাতা-শিক্ষক। কলেজের প্রথম ক্লাসটি নেবার কৃতিত্বও তাঁর। নিরন্তর ছবি আঁকেন। নানান মাধ্যমে ,  নানান ভাবনার ছবি। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সস্ত্রীক বসবাস। তার স্ত্রী মাসুদা কাজীও একজন গুণী শিল্পী। বৈচিত্রপ্রিয় এই শিল্পীর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম। ধারাবাহিকভাবে তা এখানে প্রকাশ করা হবে। আজ উপস্থাপন করা হলো প্রথম পর্ব।]   জহিরুলঃ  বেশিরভাগ শিল্পীই নিজের একটা স্টাইল তৈরি করেন ,  নিজস্বতা যাকে আমরা বলি। আবার কেউ কেউ একই ধরণের ছবি বারবার আঁকেন। আপনার কাজে বৈচিত্র খুব বেশি ,  এতে করে "টাইপড" অপবাদ থেকে আপনি মুক্ত কিন্তু নিজের একটি স্টাইল তৈরি করতে না পারা বা তৈরি হয়নি বলে কি আক্ষেপ হয় ,  নাকি এই যে ভার্সেটিলিটি এটাই আপনি বেশি উপভোগ করেন ?    রকিবঃ   আমি আসলে আলাদা করে ভাবিনি এই স্টাইল বিষয়ে। কারো মতো আঁকারও চেষ্টা করিনি তেমন ভাবে। অল্প বয়সে ,  আমার ১৯ / ২০ বছর বয়সে ,  সালভাদর দালির মতো আঁকতে চেষ্টা করেছিলাম কিছুদিন ।

আঞ্চলিকতা আর আন্তরিকতা

  এক তিতাস ভালোবাসা || কাজী জহিরুল ইসলাম ||     আঞ্চলিকতা একটি গাছ। সেই গাছে লতার মতো জড়িয়ে আছে আন্তরিকতা। এ কারণেই আমি আঞ্চলিক সংগঠনগুলো পছন্দ করি। আমার অনেক কবি ,  লেখক ,  শিল্পী বন্ধু ,  উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বন্ধু ,  তা পছন্দ করেন না। না করার কারণ হচ্ছে তারা মনে করেন তাদের রুচিবোধ অনেক উন্নত ,  আঞ্চলিক সংগঠন যারা করেন তাদের সাথে ফ্রিকোয়েন্সিতে মেলে না। আমরা নানান রকম যোগ্যতার পোশাক পরে ঘুরে বেড়াই এবং তা নানান কারণেই করতে হয়। মাঝে মাঝে আমি সকল পোশাক খুলে নগ্ন হয়ে যেতে পছন্দ করি ,  তখন যে কোনো সমাজে মিশবার মতো একটি পোশাক খুব সহজেই পরে নেয়া যায়। আমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এই শহরে অন্যান্য জেলার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষদেরও সমিতি আছে। তারা বাংলাদেশের জাতীয় দিবসগুলো উদযাপন করেন ,  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তানদের জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন করেন ,  দেশ থেকে গুণী মানুষেরা এলে তাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন করেন ,  বার্ষিক বনভোজন করেন। আমি তাদের কাছাকাছি যেতে চাই ,  তাদের মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে চাই। আমি যেহেতু লেখালেখি করি ,  কবি লেখকদের সাথেই আড্ডা দিতে বেশি পছন্দ করি কিন্তু যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানু