Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2020

ভালোবাসি পথের কুকুর

আমার যতো প্রিয় || কাজী জহিরুল ইসলাম ||    যদি বলি প্রিয় পাখি কাক জানি তুমি ভীষণ অবাক প্রিয় ফল যদি বলি রঙিন মাকাল জানি তুমি রেগে হবে লাল। তবু আমি বলে যাব প্রিয় ফুল ,  মাছ ,  নদী গাছেদের নাম কত আর দেবে বদনাম ?   ভালোবাসি পথের কুকুর যাকে দেখে রোজ তুমি করো দূর দূর। যদি বলি প্রিয় প্রাণী আরশোলা ,  চিকা ছয় পায়ে পিলপিল ছোটো পিপিলিকা এবার কি রেগে তুমি হয়েছো আগুন ? দৃষ্টির ছুরি দিয়ে করবে কি খুন ?   ঘাসফুলই প্রিয় খুব ,  ফুটে আছে তারা কপাল পুড়লো বুঝি ,  হবো গৃহহারা ? যে নদীতে জল নেই নাম হাতীটানা সে নদীতে ঝাঁপ দিতে কেনো করো মানা ? শোনো বলি প্রিয় মাছ ছোটো দারকিনা দেবে যদি দাও ছুঁড়ে সবটুকু ঘৃণা।   হলিসউড ,  নিউইয়র্ক। ২৪ জুলাই ২০২০।

রক্ত ফেটে ঘাম

ছন্দ || কাজী জহিরুল ইসলাম ||      দুলতে দুলতে ছন্দ নামে ছন্দ ছিল মেঘের খামে নীল কাগজের ছন্দে ভিজে ওরা দুজন ভাবছে নিজে কার হলো বদনাম ? এই শ্রাবণে কে খুলেছে মেঘ-মোড়ানো খাম ?   ছন্দ-তালে রক্ত ঝরে রক্ত ফেটে ঘাম। এবার নিঠুর ছন্দ ওরে এ-দূর দেশে থাম।   ছন্দে ওড়ে গাছের পাতা ছন্দে ভেজে রঙিন ছাতা ছন্দে দোলে আদম-হাওয়ার রসালো গন্দম।   এ-সংসারের কোথায় বলো ছন্দ আছে কম ?   হলিসউড ,  নিউইয়র্ক। ২৮ জুলাই ২০২০।

লোকটির বোধের নদীতে পাপ

পাপ || কাজী জহিরুল ইসলাম ||   সন্তান-সম্ভবা স্ত্রীর মুখ ডুবে আছে   সিগারেটের ধোঁয়ার নিচে।   ধোঁয়ার গভীরে অদৃশ্য পরাবাস্তব জল দৃশ্যমান তবু ভেসে আছে এক ভয়ানক সাপ।   লোকটির বোধের নদীতে পাপ।   হলিসউড ,  নিউইয়র্ক। ১ আগস্ট ,  ২০২০।

ফল দুটি হয় যদি কম এঁটো

টমেটো    || কাজী জহিরুল ইসলাম ||     সবুজ চিরল পাতা সরিয়ে যুবক রাতে  খোঁজে পাকা ফল ।  পড়ে আছে শিশিরের জলে ভেজা   থেতলানো বিশাল টমেটো।   কেউ কি ঘেঁটেছে আগে কুয়াশার জল ?   ঝুঁকে পড়ে দেখে নেয় ,  ফল দুটি হয় যদি কম এঁটো।   নাসাউ ,  নিউইয়র্ক। ৪ মার্চ ২০২০

আদি নারী কবি কাই লেখেন বিষাদ ও ক্রোধের কবিতা

পৃথিবীর আদি নারী কবিদের কথা   || কাজী জহিরুল ইসলাম ||  গদ্য সাহিত্যের জন্ম এইতো সেদিন। কবিতাই আদি সাহিত্য। দাউদ নবী ছিলেন কিছুটা পাগলা কিসিমের। তিনি দিনরাত গীত রচনা করতেন আর গাইতেন। সেগুলো ছিল খোদার প্রশংসা এবং মন্দ লোকদের বিরুদ্ধে বিদ্রূপ এবং তাদের ধ্বংস কামনায় পূর্ণ। এরপর মূসা এলেন, ঈসা এলেন, মুহাম্মদ এলেন। তাদের মাধ্যমে খোদার কাছ থেকে অবতীর্ণ হলো তওরাত, ইঞ্জিল এবং কোরান। শ্রেষ্ঠ তিনটি ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্ম গ্রন্থগুলোর সবই কিন্তু কবিতা, অর্থাৎ কাব্যিক ফর্মেই এগুলো এসেছে। সুতরাং খোদার অনেক গুণাবলীর একটি হচ্ছে তিনি কবি।   এদিকে ভারত উপমহাদেশে কালক্রমে গড়ে উঠেছে যে সনাতন ধর্ম সেই ধর্মের গ্রন্থাবলীও কবিতায়ই রচিত। নানান দেশের পুরাণকাহিনী, এপিক সাহিত্য সবই কবিতা। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হলো এর প্রায় সবগুলোই রচিত হয়েছে পুরুষ কবির দ্বারা। আর ধর্মগ্রন্থগুলোও অবতীর্ণ হয়েছে পুরুষদের ওপরই।  প্রাচীনকালে কি কোনো নারী কবি ছিলেন না? যীশুর জন্মের  ২২৮৫  বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের উর শহরে জন্মগ্রহণ করেন  এনহেদুয়ানা নামের এক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নারী, যিনি মাত্র ৩৫ বছর বেঁচে ছিলেন। অথচ এই অল্প সময়েই তিনি প্রচুর প্

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জুর সাক্ষাৎকার - তৃতীয় পর্ব

মঞ্জু আমার ওপর রাগ করেছে                                                           - আল মাহমুদ [লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আনোয়ার হোসেইন মঞ্জুর সাক্ষাৎকারের  তৃতীয় পর্ব আজ প্রকাশ করা হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম।]  সাক্ষাৎকার নেবার এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু  ও কাজী জহিরুল ইসলাম। ওয়ান্টাগ পার্ক, নিউ ইয়র্ক।  ছবি তুলেছেন ড. মাহবুব হাসান।   জহিরুলঃ  খুশবন্ত সিং তার সকল বই অনুবাদ করার লিখিত অনুমতি দিলেন আপনাকে এবং সেই অনুমতিপত্রটি তিনি নিজ হাতে আপনার সামনেই বাংলায় লিখে দিলেন। তিনি কিভাবে বাংলা শিখলেন তা কি জানতে পেরেছিলেন ?  মঞ্জুঃ    জ্বি ,  ঘটনাটি  ঘটে  ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে ,  এ সম্পর্কে আমি আগের এক প্রশ্নে বলেছি। তারিখটি আমার স্মরণে নেই। তবে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার পর ,  ডিসেম্বরের শেষ দিকে। না ,  বাংলায় নয় ,  উনি ইংরেজিতে লিখেছেন। আমার কফি পানের সময়ের মধ্যেই লিখে দিয়েছেন। ১৯৮৪ থেকে মাঝে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে আমাকে তিনটি বা চারটি চিঠি লিখেছেন। লিখেছেন বলতে আমার চিঠির উত্তর দিয়েছেন। প্রতিটি চিঠি ইংরেজিতেই লিখেছেন। প্রতিটি চিঠিতে আমাকে সম্বোধন করেছেন  “ আনোয়ার ভাই ,”  বলে।