আউয়াল || কাজী জহিরুল ইসলাম || দীর্ঘজীবী রাজা বল্লাল সেন , জন্মের পর পিতা বিজয় সেন যার নাম রেখেছিলেন বড় লাল সেন , ৭৭ বছর বয়সে পিতার উত্তরাধিকার গ্রহণ করেন। ভগবান শিবের কৃপায় দৈবজ্ঞানপ্রাপ্ত হন এবং ভবিষ্যজ্ঞাত হয়ে জানতে পারেন তিনি শতায়ু হবেন। ৭৭ বছর বয়সে রাজা হলেও চষে বেড়িয়েছেন বঙ্গ , রাঢ় , উড়িষ্যা , মিথিলাসহ রাজ্যের এমাথা-ওমাথা। দ্বাদশ রাজ্যের রাজা হয়ে প্রথা অনুযায়ী করোটিতে ধারণ করেন সম্রাটের মুকুট। ধর্মানুরাগী রাজা বল্লাল সেন পাল সাম্রাজ্য-নির্মিত বৌদ্ধ মঠগুলো রূপান্তর করেন দেবালয়ে। পূর্ববঙ্গের পশ্চাদপদ জনপদের অন্ধকারে , খানিকটা ম্রিয়মান আলো যেখানে জ্বলছিল সেখানেও , তাঁর রাজহস্তিপদধূলি পড়ে। কিন্তু এখানে এসে এই জনপদের মানুষের মূর্খতা দেখে যারপরনাই হতাশ হন তিনি। দেবী দূর্গামূর্তি নগ্ন! দেবীর এহেন অপমান যারা করে তাঁদের ধর্মজ্ঞানে দীক্ষিত করতে গড়ে তোলেন এক দূর্গামন্দির। কি নাম হবে মন্দিরের ? যে শহরের মানুষ দুর্গতিনাশিনী দেবীকে বিগ্রহ করে ঢেকে রেখেছে অন্ধকার কাদার নিচে , যারা ঢাকে ঈশ্বরীকে , সেই জনপদের মন্দিরের নাম ঢাকেশ্বরী ছাড়া আর কি হতে পারে ? এতদঞ্চলের মানুষের রুচি-বুদ্