Skip to main content

Posts

ফিচার্ড পোস্ট

তিনি সাধারণের বাইরের মানুষ

  আমার দেখা কাজী  জহিরুল ইসলাম  ||   ড. আশরাফ আহমেদ  ||   কবি কাজী জহিরুল ইসলাম  ,  বাপ - মা  ,  ঘনিষ্ঠ স্বজনদের প্রিয় বাদল একজন চমৎকার মনের মানুষ  ।  নির্ভেজাল ,  খাঁটি ,  আলোকিত মন ও মননের অধিকারী ।  দয়ালু চিত্তের মানুষটি তাঁর ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উৎসর্গ করেছিলেন সে-সময়ে ভীষণ অসুস্থ ফটো সাংবাদিক স্বপন হাইয়ের জন্য ।  স্বপন হাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন  ( ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন) কিন্তু মানবিকতার সুন্দর উদাহরণ দেখে নিশ্চয়ই আনন্দিত হয়ে গেছেন ।  কবি জহিরের অনুরোধে জন্মদিনে উপহারের বদলে স্বপন হাইয়ের চিকিৎসা তহবিলে দানের যে অনন্য মানবিক উদাহরণ কবি জহির রেখেছেন তা আমরা অনেক দিন মনে রাখব ।  প্রিয় কবির সুন্দর মনের এটি একটি ছোট্ট উদাহরণ ।  এমনতরো অসংখ্য ঘটনা আছে যেখানে কবি ও তাঁর সুস্মিতা ,  বিদুষী পত্নী মুক্তি জহির তাদের আতিথ্য ,  স্নেহধারা এবং কাছে টেনে নেয়ার বলয় মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে উত্তর আমেরিকা তথা সারা বিশ্বের সংস্কৃতিমনা মানুষজনদের কাছে টেনে নিয়েছেন ।   যদ্দুর মনে পরে কোন এক জায়গায় বক্তৃতায় বলেছিলাম ,  কবি জহিরের মধ্যে কিছু মাজিক্যাল পাওয়ার আছে ।  আমার মত ঘরকুনো একজন বয়স্ক মানুষকে
Recent posts

কাজী রকিবের সাক্ষাৎকার || পর্ব -৩

মুক্তি যুদ্ধে অংশ নিতে না পারা আমার সারাজীবনের দু:খ - কাজী রকিব  [কাজী রকিব বাংলাদেশের একজন গুণী শিল্পী। রাজশাহী আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা-শিক্ষক। কলেজের প্রথম ক্লাসটি নেবার কৃতিত্বও তার। নিরন্তর ছবি আঁকেন। নানান মাধ্যমে ,  নানান ভাবনার ছবি। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সস্ত্রীক বসবাস। তার স্ত্রী মাসুদা কাজীও একজন গুণী শিল্পী। বৈচিত্রপ্রিয় এই শিল্পীর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম। ধারাবাহিকভাবে তা এখানে প্রকাশ করা হবে। আজ উপস্থাপন করা হলো তৃতীয় পর্ব।]   পর্ব -৩     জহিরুলঃ  আর্ট কলেজে যাদের পেয়েছিলেন ,  তারা এখন কে কোথায় আছে ?  শিল্পী হিসেবে কে কতখানি নাম করেছেন ?  তখন যাকে বা যাদেরকে খুব প্রমিজিং মনে হয়েছিল পরবর্তি জীবনে কি সেই প্রতিভার প্রতিফলন দেখতে পেয়েছেন ? রকিবঃ   আমি যখন ঢাকা আর্টকলেজে ভর্তি হই তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্বলজ্বল করছেন পেইন্টার্স গ্রু পের সদস্যরা । আর যারা কিছু বছর আগে পাশ করে চলে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে শহীদ কবির ও শাহতাব হোসেন আমাদের অনেককেই মুগ্ধ করেছিলেন। শহীদ কবির পরবর্তিতে আমাদের শিক্ষক হয়েছিলেন। তিনি এখন দিকপাল। শাহতাব ভাইক

জাতিসংঘের সামনে ভারতীয় নাগরিকের অনশন

ভাবিকের সত্যাগ্রহ || কাজী জহিরুল ইসলাম ||   যুবকের নাম ভাবিক। আমার মনে হয় ভাবুক থেকেই শব্দটির   উৎপত্তি। তিনি জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে সত্যাগ্রহে বসেছেন। কালো জ্যাকেট ,  গ্যাভাডিনের   কালো প্যান্ট ,  জ্যাকেটের হুডিতে মাথা ঢাকা। আজ জানুয়ারীর ২১ তারিখ। হাড়কাঁপানো শীত   ম্যানহাটনে। দুপুরে কিছুটা রোদের দেখা মিলেছে বলে বাইরে খানিক দাঁড়ানো যাচ্ছে। কিন্তু   ভাবিক বসেছে অনশনে। স্থির ,  অনড়। কংক্রিটের ওপর একটি নীল প্লাস্টিক বিছিয়ে বসে পড়েছে।   খাবে না ,  পান করবে না। সামনে ফার্স্ট এভিনিউ ,  সাঁই করে দ্রুতগতির গাড়িগুলো ছুটে যাচ্ছে   আপ-টাউনের দিকে। ওর পেছনে একটি ব্যানার। তাতে ইংরেজিতে অনেক কিছু লেখা। লেখাগুলোর বাংলা   করলে দাঁড়ায় ,  ‘ অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন। জাতিসংঘ পাকিস্তানে হিন্দু   ও শিখদের বাঁচাও। ’   এই দুই লাইন হেডিং। এর নিচে লেখা ,  ‘ জাতিসংঘ ,  এখনই ব্যবস্থা গ্রহন করো। স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তান সরকার   ও সেনাবাহিনী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের গণহত্যা করছে। ১৯৪৭ সালে ২৬ শতাংশ হিন্দু ছিল আর   আজ ২ শতাংশও নেই। এই সংখ্যাটিই বলে দেয় পাকিস্তান তার দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য কতটা   বিপজ্জনক। পাকিস