Skip to main content

নরেন্দ্র মোদির দূরভিসন্ধি

 নরেন্দ্র মোদির দূরভিসন্ধি

|| কাজী জহিরুল ইসলাম ||  


ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠন করে ২৬ মে ২০১৪ তারিখে। পাঁচ বছর পর জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দলটি পূনরায় মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠন করে ৩০ মে ২০১৯ তারিখে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় এবং তারা প্রথম মেয়াদে যা করেনি কিন্তু দলের মূল আদর্শে ছিল
দ্বিতীয় মেয়াদে তা করতে শুরু করে। ফ্রিজে গরুর মাংস রাখার অপরাধে মুসলমান পরিবারের ওপর নির্যাতন নিশ্চয়ই গুজরাটের কসাই কথাটিই মনে করিয়ে দেয়। সেই লোকসেই সরকারযখন জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বারবার ক্ষমতায় আসে তখন এটা পরিস্কার যে ভারত এখনও সভ্য হয়নি। আর এতো বড় অসভ্য দেশ পাশে থাকলে আমরাও যে সভ্য হতে পারবো নাতা তো পদে পদেই টের পাচ্ছি।  

 

সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে কাশ্মীরকে অশান্ত করে তোলে মোদি সরকার। ৩৭০ ধারা নিশ্চিত করেছিল কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন এবং নিষিদ্ধ করেছিল বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহেরলাল নেহেরু কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলেছিলেনকাশ্মীর কাশ্মীরীদেরই থাকবেকাশ্মীরের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে। কিন্তু মোদি সরকার এই ধারা তুলে দিয়ে কাশ্মীরকে ভারতের অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের মত একটি সাধারণ অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে। বিজেপির প্রধান অমিত শাহ কাশ্মীর প্রসঙ্গে নেহেরুকে দায়ী করেন। তিনি বলেননেহেরুর জন্যই কাশ্মীরের একটি বড় অংশ ভারতের হাতছাড়া হয়ে যায়। ৩৭০ ধারা তুলে দেবার ফলে এখন যে কেউ কাশ্মীরে জায়গা-জমি কিনে বাড়িঘর বানাতে পারবেমিল কারখানা গড়ে তুলতে পারবে। এর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে কাশ্মীরের জনগণ। সেই আন্দোলনে ইন্ধন জুগিয়েছে পাকিস্তান। এবং তা কঠোর হস্তে দমন করতে নেমে পড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়েইন্টারনেটটেলিফোন লাইন কেটে দিয়ে রাতের অন্ধকারে কাশ্মীরে গুম এবং হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এ প্রসঙ্গে আমি বেশ কজন ভারতীয় বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তোতা পাখির শেখানো বুলির মত বলেছেকিছুদিন পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। যখন কাশ্মীরের লোকেরা দেখবেমিল কারখানা হচ্ছেচাকরি-বাকরির ক্ষেত্রে তৈরী হচ্ছেভালো স্কুল-কলেজ হচ্ছে তখন সবাই বুঝে যাবে সরকার ঠিক কাজ করেছে। শিক্ষা-দীক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নতিই আসল কথাস্বাধীনতা কিছু না। কথাটা মোটেও নিতে পারিনি। আমি বলিএক কাজ করো নাতোমরা ভারতকে আমেরিকার কাছে দিয়ে দাও। সবাই আমেরিকার পাসপোর্ট পাবেআমেরিকার ফ্লাগ পাবেএক লাফে উন্নত দেশের নাগরিক হয়ে যাবে ১২০ কোটি ভারতীয়যাদের অধিকাংশই (ইউনিসেফের তথ্য মতে ৬২ কোটি) এখনো খোলা আকাশের নিচে হাগে। ওরা দুজন মুখ কালো করে উল্টো দিকে হাঁটতে শুরু করে। 

 

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মোদি সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিল উত্থাপন করেছে এবং তা পাশ হয়ে গেছে। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে নতুন সংশোধনীতে যোগ করা হয়েছে২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যেসব অবৈধ হিন্দুবৌদ্ধক্রিস্টানশিখজৈনপারসিক ধর্মাবলম্বী মানুষ পাকিস্তান,আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছে তাদেরকে প্রমাণ উপস্থাপন সাপেক্ষে নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। জন্মসনদইমিগ্রেশন সীল ইত্যাদি প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপন করা যাবে। এই সংশোধনীর দুটি মন্দ দিক আছে। প্রথমত সুনির্দিষ্ট কিছু ধর্মের মানুষের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধণ করা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট করে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত দালিলিক প্রমাণ সাপেক্ষে নাগরিকত্বের আবেদন করার বিষয়টি উন্নত বিশ্বের কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হলেও উপমহাদেশে উপর্যুপরি দাঙ্গা এবং রায়টের ফলে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাধ্যতামূলক অভিবাসন ঘটেছে। এই অভিবাসন ছিল বড়ই বেদনাদায়ক এবং হৃদয়বিদারক। প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাঁচার অভিবাসন। এই প্রক্রিয়ায় এপার-ওপার হওয়া মানুষের কারোরই জন্মসনদ থাকার কথা নয়পাসপোর্ট তো সুদূর পরাহত। আর ইমিগ্রেশন সীল! হাসবো না কাঁদবোযারা দাঙ্গা বা রায়টের কারণে এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেছে তাদের কারোরই কোনো দলিল দস্তাবেজ নেই যা তারা নাগরিকত্বের জন্য উপস্থাপন করতে পারে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ ঋতাব্রত বন্দোপাধ্যায় সংসদে এক আবেগময় ভাষণে বিষয়টি উপস্থাপন করেন। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ রাজ্যের প্রায় সকল মানুষই এই সংশোধনের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে। থেমে নেই দেশের বাইরে থাকা উপমহাদেশের অভিবাসীরাও।

 

শুক্রবার১৭ জানুয়ারি ২০২০। দুপুর দেড়টা। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে। মেঘ আর রোদের লুকোচুরি খেলা চলছে। ফোর্টি সেভেন স্ট্রিটে ধীরে লোক জড়ো হচ্ছে। এক পা দুপা করে আমিও এগিয়ে যাই। আমার চোখে নিশ্চয়ই এমন কোনো ভাষা ছিল যা জড়ো হতে থাকা মানুষগুলো পড়তে পারছিল এবং সেই ভাষা তাদেরকে আমার প্রতি আগ্রহী করে তুলছিল। একজন বাংলাদেশি তরুণ এগিয়ে আসেনতাঁর নাম আল আমীন। তিনি আমেরিকার সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। গায়ে জলপাই রঙের জ্যাকেটমাথায় ক্যাপগলায় ধুসর মাফলারকাঁধে ব্যাগব্যাগের হলুদ স্ট্র্যাপ বুকের ওপর আঁড়াআঁড়ি সেটে আছে। যুবকের হাতে প্লাকার্ডতাতে লেখাস্টপ মোদি ফ্রম ডুয়িং হোয়াট হিটলার ডিড  আমি বলিএ-কথার অর্থ কিএরই মধ্যে আরো চার-পাঁচজন লোক আমাকে ঘিরে ধরেছে। আল আমীন বয়সে  তরুণ হলেও বেশ ঠান্ডা মাথার মানুষ। আমাকে সে ধীরে বলে৩৭০ ধারা বাতিলনাগরিকত্ব আইন সংশোধনএসবের মধ্য দিয়ে মোদি গ্রাউন্ড তৈরী করছে ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র বানাবার জন্য। ওরা একসময় মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করতে শুরু করবে। গুজরাটে রায়টের জন্ম দেবার পরেও যে দেশের মানুষ মোদিকে ম্যান্ডেড দেয় সেই দেশের মানুষ এটাই চায়। সারা পৃথিবীর মানুষের এগিয়ে আসা উচিত এই কসাইয়ের হাত থেকে ভারতের মুসলমানদের বাঁচাতে। বিশ্ববিবেক জেগে না উঠলে মোদি বড় ধরণের গণহত্যা ঘটাবে। ক্রমশ সে হিটলার হইয়ে উঠছে। এরই মধ্যে অন্য একজন কর্মী যিনি মাইক্রোফোনের সংযোগ ঠিক করছিলেনকাজ করতে করতেই আল আমীনকে ইংরেজিতে প্রশ্ন করেনআপনার অসুবিধা হবে নাএই যে মিলিটেরিতে চাকরি করে আন্দোলনে নেমেছেনআল আমীন পালটা প্রশ্ন করেনকি অসুবিধা হবেভয় পেলেই ভয়। আমি তো কোনো অন্যায় করছি না। হত্যার প্রতিবাদ করতে এসেছিমানবতার কথা বলতে এসেছি। 

 

জুম্মার নামাজ শেষ হয়ে গেছেধীরে লোকজন বাড়ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম বুঝি বাংলাদেশভারতপাকিস্তানের মুসলমানেরাই এই আন্দোলনের আয়োজন করেছে কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখতে পাইমধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানেরাও যোগ দিয়েছে। ওরা ইংরেজিতে স্লোগান দিচ্ছেজাতিসংঘ ভবনের দিকে মুষ্ঠি ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। মোদির মুসলিম নিধন ও তার হিন্দু রাষ্ট্র কায়েমের দুরভিসন্ধির কথা বক্তৃতায় তুলে ধরছে। কাশ্মীরের মানুষের অবর্ণনীয় কষ্টের কথানির্যাতনের কথাখুনগুমের কথাও তুলে ধরছে। পথচারীরা হয়ত যার গন্তব্যের দিকে ছুটে যেতে ভাবছেএই হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে যেখানে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরুতে চায় নাএই লোকগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে কী করছেওরা কী পাগল! 

 

হ্যাঁ ওরা পাগলই। এমন পাগল পৃথিবীতে আছে বলেই এখনো টিকে আছে মানবতা।

 

নিউইয়র্ক। ১৭ জানুয়ারি ২০২০।  

Comments

  1. খাঁকি-গেরুয়া-চাড্ডির ত্রিফলায় জর্জরিত দেশ।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

অসাধারণ এই শিল্পীর জীবনের গল্প বড় করুণ

  [এই সময়ের অত্যন্ত প্রতিভাবান শিল্পী সারফুদ্দিন আহমেদ। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। আর্ট কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন ,  আর শুধু ছবি আঁকেন। নানান মাধ্যমে ,  নানান বিষয়ের ছবি। সারফুদ্দিন আহমেদের ছবি থেকে চোখ ফেরানো যায় না ,  আপনাতেই ওঁর নান্দনিক সৃষ্টিকর্মে দৃষ্টি আটকে যায় ,  কী জল রঙ ,  কী অ্যাক্রিলিক ,  কিংবা স্রেফ পেন্সিলের ড্রয়িং। এই গুণী শিল্পীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম। সাক্ষাৎকারটি এখানে উপস্থাপন করা হলো।]       ভারত আমাকে চোখ দিয়েছে ,  বাংলাদেশ দিয়েছে দৃষ্টি -     সারফুদ্দিন আহমেদ     কাজী জহিরুল ইসলামঃ  ব্যাক গ্রাউন্ডে তবলা বাজছে আপনি ছবি আঁকছেন কাচের ওপর।    এই যে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ছবি আঁকা, এই ছন্দটা ছবিতে কিভাবে ধরেন? আর কোনো শিল্পী ছবি  আঁ কার সময় যন্ত্রানুসঙ্গ ব্যবহার করেছেন?   সারফুদ্দিন আহমেদঃ   কাঁচ নয়,   এটি এক বিশেষ ধরনের কাপড়-নেট। এই নেটের উপরে বর্তমানে আমার এক্সপেরিমেন্ট চলছে।    জহিরুলঃ ও ,  ফেইসবুকে যখন ছবিটি দেখি কাচের মতো ...

কাজী জহিরুল ইসলামের কবিতা || আবুল কাইয়ুম

কাজী জহিরুল ইসলামের কবিতা: জাতীয়-বৈশ্বিক মেলবন্ধন   || আবুল কাইয়ুম ||    কবি যদি হন বিশ্বপরিব্রাজক ,  তবে তিনি তো কবিতায় আঁকবেন তাঁর দেখা দুনিয়ার ছবি। বৃহত্ত্বকে আশ্লেষ করার পরিণামে স্বাভাবিকভাবে তাঁর মধ্যে জন্ম নেবে মানবিক মহত্ত্ববোধ ,  তা যে কাব্যাদর্শের লাঠিতে ভর করেই হোক। আশির দশক থেকে ক্রমবিকশিত কবি কাজী জহিরুল ইসলামের ক্ষেত্রেও একথা সত্যি । পর্যাপ্ত বিশ্বভ্রমণের অভিজ্ঞতায় আলোকিত হয়েছেন বলেই তিনি যে কোনো সঙ্কীর্ণতার উর্ধ্বে থেকে নিজেকে উদারনৈতিক মানবিক চৈতন্যে সংগঠিত করতে পেরেছেন ,  বিশ্বমানবতা ও বিশ্বশান্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত রেখেছেন। তাঁর ব্যক্তিত্বে জড়ো হয়েছে বৃহত্তর সমষ্টিচেতনা ,  তাঁর প্রেম ও প্রার্থনা মানব কল্যাণের আশ্রয়ে গড়ে উঠেছে। তার লেখনীতে নানা দেশের মানুষের জীবন ,  সংস্কৃতি ,  প্রেম ,  ত্যাগ ও সংগ্রামের চালচিত্র কীভাবে উঠে এসেছে তা তাঁর কবিতার সংস্পর্শে না এলে বোঝা যাবে না। তাঁর  ‘ এল সালভাদর ’  শীর্ষক কবিতার কথাই ধরা যাক। এই অত্যুজ্জ্বল কবিতার মাত্র কয়টি বিস্ময়কর পংক্তিই শুধু এখানে তুলে ধরছি-    হণ্ডু...

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জুর সাক্ষাৎকার || পর্ব ৭

মতিউর রহমান চৌধুরীকে  র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারের জন্য নমিনেট করেছিলেন  আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু       [লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আনোয়ার হোসেইন মঞ্জুর সাক্ষাৎকারের সপ্তম  পর্ব আজ প্রকাশ করা হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম।]          জহিরুলঃ  আপনার সাংবাদিকতা জীবনের প্রায় পুরোটাই ব্যয় করেছেন জাতীয় সংসদ কভার করে। এই সংসদে আমাদের সংবিধানের অনেকগুলো সংশোধনী পাশ হয়েছে। আমাদের নেতারা সব সময় বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড় কিন্তু প্রকৃত চিত্র হচ্ছে দেশের চেয়ে দলের স্বার্থ বড় হয়ে ওঠে এবং দলের চেয়ে ব্যক্তির/পরিবারের স্বার্থই বেশি গুরুত্ব পায়। প্রধান প্রধান সংশোধনীগুলোর আলোকে যদি বিশ্লেষণ করেন কতোটা জাতীয় স্বার্থে আর কতটা ব্যক্তি বা পরিবারের স্বার্থে এইসব সংশোধনীগুলো করা হয়েছে।    মঞ্জুঃ   আপনি ঠিকই বলেছেন, এযাবত বাংলাদেশে ১১টি জাতীয় সংসদ গঠিত হয়েছে এবং এর মধ্যে দ্বিতীয় সংসদ থেকে নবম সংসদ পর্যন্ত মোট আটটি সংসদের অধিবেশন কভার করা সুযোগ হয়েছে আমার। আমার সংসদ কভারের সময়ে আমাদের সংবিধানের ১০টি সংশোধনী অনুমো...